কমেছে সবজির দাম

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : মানুষ কম, রাস্তাঘাট ফাঁকা, বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি কিছু অফিস খুললেও বেশির ভাগ অফিস এখনো বন্ধ। ফলে কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনাও কম। বিক্রেতারাও কম দামে সবজি বিক্রি করছেন।

 

বুধবার (১১ জুন) রাজধানীর কয়কটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারে সবজির চাহিদা কমে গেছে। এজন্য সবজির সরবরাহও কম। সে কারণে দামও কিছুটা কমেছে। তবে আগামী সপ্তাহে লোকজন ফিরলে সরবরাহ বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।

 

যাত্রাবাড়ী আড়ত,  শনিরআখড়া ও আশপাশের মহল্লার বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর সবজির দোকানগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ রয়েছে। অল্প কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও তাতে পণ্য ও ক্রেতা দুই-ই কম।

 

ব্যবসায়ী কালাম জানান, ঢাকায় মানুষ কম। যারা আছেন তারা এখন কোরবানির মাংসই বেশি খাচ্ছেন। তাই সবজির চাহিদা কম। মালও আসছে অল্প। বেচাকেনাও কম।

 

সকালে যাত্রাবাড়ীর সানারপাড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটিতে এখন অধিকাংশ সবজি দোকানই বন্ধ। এমনকি মাছ-মাংসের দোকানও বন্ধ। শুধু কয়েকটি মুরগির দোকান খোলা দেখা গেছে।

 

সবজি কিনতে আসা মেহেদী মামুন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘টানা মাংস খেতে ভালো লাগে না। গ্যাপ দিয়ে খেলে শরীরে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না। তাই সবজি কিনতে এসেছি। আসার আগে ভেবেছিলাম সবজির দাম বেশি হবে, এসে দেখি মোটামুটি সবই সস্তা।

 

সবজি বিক্রেতা রফিকুল বলেন, ‘এখন আর আগের মতো চাহিদা নেই। তাই কম দামেই দিয়ে দিচ্ছি।’ তবে চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বেড়ে যাবে- যুক্ত করেন তিনি।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালাদ তৈরির উপকরণ শসা, কাঁচা মরিচ, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম ঈদের দুই দিন আগে বেড়েছিল। তবে এখন আগের দামেই মিলছে এসব দ্রব্য।

 

বর্তমানে প্রতি কেজি শসা ৩০-৫০ টাকা, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ১৫-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

 

এছাড়া ঢেঁড়শ, পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে।

 

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ব্র্যাক ব্যাংক, বিডিডিএন জব ফেয়ারে ৪৬ প্রতিবন্ধীব্যক্তির কর্মসংস্থান

» চোরদের হাতে নয়, দেশের চাবি তুলে দিতে চাই সৎ চৌকিদারদের হাতে : ডা. শফিকুর

» অতীতের ইতিহাসের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান : জামায়াতকে ফারুক

» অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকবান্ধব না হলে আর কে হবে: উপ-প্রেস সচিব

» ফোনে যেসব নম্বর থেকে কল পেলেই বুঝবেন জিমেইল হ্যাকের চেষ্টা চলছে

» ‘নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে দেড় লাখ পুলিশকে দেয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ’

» মেসিদের সঙ্গে লাতিন অঞ্চলে আরও যাদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত

» নারীসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

» পাঁচ মামলার আসামি গ্রেফতার

» শাহরুখের ‘কিং’ ছবির লুক ফাঁস

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কমেছে সবজির দাম

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : মানুষ কম, রাস্তাঘাট ফাঁকা, বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি কিছু অফিস খুললেও বেশির ভাগ অফিস এখনো বন্ধ। ফলে কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনাও কম। বিক্রেতারাও কম দামে সবজি বিক্রি করছেন।

 

বুধবার (১১ জুন) রাজধানীর কয়কটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারে সবজির চাহিদা কমে গেছে। এজন্য সবজির সরবরাহও কম। সে কারণে দামও কিছুটা কমেছে। তবে আগামী সপ্তাহে লোকজন ফিরলে সরবরাহ বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।

 

যাত্রাবাড়ী আড়ত,  শনিরআখড়া ও আশপাশের মহল্লার বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর সবজির দোকানগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ রয়েছে। অল্প কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও তাতে পণ্য ও ক্রেতা দুই-ই কম।

 

ব্যবসায়ী কালাম জানান, ঢাকায় মানুষ কম। যারা আছেন তারা এখন কোরবানির মাংসই বেশি খাচ্ছেন। তাই সবজির চাহিদা কম। মালও আসছে অল্প। বেচাকেনাও কম।

 

সকালে যাত্রাবাড়ীর সানারপাড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটিতে এখন অধিকাংশ সবজি দোকানই বন্ধ। এমনকি মাছ-মাংসের দোকানও বন্ধ। শুধু কয়েকটি মুরগির দোকান খোলা দেখা গেছে।

 

সবজি কিনতে আসা মেহেদী মামুন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘টানা মাংস খেতে ভালো লাগে না। গ্যাপ দিয়ে খেলে শরীরে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না। তাই সবজি কিনতে এসেছি। আসার আগে ভেবেছিলাম সবজির দাম বেশি হবে, এসে দেখি মোটামুটি সবই সস্তা।

 

সবজি বিক্রেতা রফিকুল বলেন, ‘এখন আর আগের মতো চাহিদা নেই। তাই কম দামেই দিয়ে দিচ্ছি।’ তবে চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বেড়ে যাবে- যুক্ত করেন তিনি।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালাদ তৈরির উপকরণ শসা, কাঁচা মরিচ, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম ঈদের দুই দিন আগে বেড়েছিল। তবে এখন আগের দামেই মিলছে এসব দ্রব্য।

 

বর্তমানে প্রতি কেজি শসা ৩০-৫০ টাকা, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ১৫-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

 

এছাড়া ঢেঁড়শ, পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে।

 

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com